ঢাকা : ক্যানসারের সঙ্গে লড়ে যাওয়া শিশুদের জীবনমান উন্নয়ন ও আনন্দময় জীবন-যাপনে সহায়তা করতে শিক্ষাবৃত্তি চালু করেছে আশিক ফাউন্ডেশন। সোমবার (২০ মে) রাজধানীর ধানমণ্ডির সেবা ভবনে নতুন এই সেবা চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আশিক ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন মিসেস সালমা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, বিশেষ অতিথি ছিলেন লো মেরিডিয়েন হোটেল, ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার কনস্টাটিনোস এস. গ্যাভরিয়েল।
এছাড়া আশিক ফাউন্ডেশনের সম্মানিত ডোনার, সারভাইভর, অভিভাবক, চিকিৎসক, নার্স, স্বেচ্ছাসেবক, কর্মচারী, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অতিথিসহ অনেকে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন আশিকের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর খোদেজা খাতুন ও ম্যানেজার কামরুন্নাহার লাভলী।
প্রধান অতিথি ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল বলেন, চিকিৎসাবিজ্ঞান আজ অনেক উন্নত। ক্যানসার এখন নিরাময়যোগ্য ব্যাধি। তাই আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারকে ক্যানসারকে ভয় না পেয়ে জয় করার সাহস দেন তিনি। শিশুরা আশিক ফাউন্ডেশন থেকে শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে ভালোভাবে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।
গেস্ট অব অনার ড. মুনতাসির মামুন, আশিক ফাউন্ডেশন গত ৩০ বছর ধরে তাদের মহতী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মিসেস সালমা চৌধুরী এবং তাঁর স্বামী আফজাল হোসেন চৌধুরীর দৃঢ় সংকল্প ও একনিষ্ট পরিশ্রমের কারণে এই প্রতিষ্ঠান আজকের এই অবস্থানে রয়েছে। আশিক ফাউন্ডেশনের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা ও সংগঠনের কার্যক্রমে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার অঙ্গীকার করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, আশিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারস মিসেস সালমা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সারভাইভরস্ এডুকেশন সাপোর্ট (এসইএস) প্রোগ্রাম’ ক্যানসার আক্রান্ত শিশুর পড়াশোনায় সহযোগিতা করবে। এ কাজে সহায়তার জন্যে তিনি ডোনারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, গত ৩০ বছর ধরে আশিক ফাউন্ডেশন আড়াই হাজারের বেশি শিশু ক্যানসার যোদ্ধাদের সেবা দিয়েছে। এদের মধ্যে ২৮২ জন শিশু ক্যানসার যোদ্ধা ৮ থেকে ৯ বছর লড়াই করে সারভাইভরস্ হয়েছে।
আশিক ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান। প্রতিবছর এই দিনে আশিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসনের কনিষ্ঠপুত্র আশিক হোসেন চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।