নারী শিক্ষার অগ্রগতির কথা বিবেচনায় এনে ধানমন্ডির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষানুরাগীর উদ্যোগে ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা মহিলা কলেজ। কলেজটি ধানমন্ডির অভিজাত এলাকায় প্রতিষ্ঠিত নানান বৈচিত্র্যে সমুজ্জ্বল। এখানে ছাত্রীদের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশে আবাসনের ব্যবস্থা আছে। এখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আবাসিক শিক্ষার্থী বিশেষ করে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার আদিবাসী মেয়েরা বাঙ্গালী মেয়েদের সাথে হোস্টেলে অবস্থান করে পড়াশুনা করছে। তাই এ কলেজটি সাম্প্রদায়িক সম্পৃতির একটি অনন্য উদাহরণ। কলেজের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের পাহাড়ি মেয়েদের উপস্থাপনা সবাইকে মুগ্ধ করে। আদিবাসী মেয়েদের দ্বারা কলেজে একটি সাংস্কৃতিক বলয় সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি শনিবারে শিক্ষার্থীদের গানের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এ কলেজের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি জাতীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে থাকে। সাংস্কৃতিক চর্চাই ধর্মান্ধতা থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে পারে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রয়াসে সাংস্কৃতিক অনুশীলনের প্রতি যত্নবান । প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস কুচ্কাওয়াজে ঢাকা মহিলা কলেজের নৌ রোভার দল অংশগ্রহন করে। স্কাউট/রোভার কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠন, স্বাবলম্বী হওয়া, দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হওয়া তথা পরিপূর্ণ মানুষ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখে। কলেজের ফলাফল বরাবরই সন্তোষজনক। নারী শিক্ষা বিস্তারে এ কলেজের ভূমিকা অনন্য। নারী শিক্ষার প্রতি বর্তমান সরকারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। নারীর ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকার কাজ করে চলেছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পদে আজ নারীরা সমাসীন হয়ে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। বহিঃর্বিশ্বে বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ প্রশংসা অর্জন করেছে। এ কলেজটি দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজ এলাকা ধানমন্ডিতে অবস্থিত।
প্রকাশক : মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তালুকদার
সম্পাদক : খান মোহাম্মদ সালেক
Copyright © 2024 Shikkha Kantha. All rights reserved.